ওয়েব ডেস্ক: ফের গরম বেড়ে গিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা না থাকলেও গরমের অস্বস্তি রয়েছে। তবে শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনে বৃষ্টি হচ্ছে ও হবে, তাই তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ছাড়া সব বিভাগে কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এছাড়া নেত্রকোণায় ৮০, নিকলিতে ৪৫, রাজারহাটে ২২, হাতিয়ায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কোথাও ১০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়নি। শুক্রবার রাতে ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানান তিনি। শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, পাবনা ও সৈয়দপুর জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি সর্বোচ্চ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো রাজারহাটে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।